Skip to main content

শিশু মাতৃদুগ্ধ পানে পিছিয়ে এশিয়ার শিশুরা।

মাতৃদুগ্ধ পানে এশিয়ার শিশুরা পিছিয়ে।

ডাঃ আশীষ কুমার ঘোষ
শিশু রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ

সন্তান জন্ম দেয়ার পরবর্তী একঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় নবজাতককে বুকের দুধ পান করাতে না পারলে নবজাতকের জন্য তা প্রাণহানীর কারণ হতে পারে। জানা গেছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন শিশুই (আনুমানিক ৭ কোটি ৮০ লাখ শিশু) জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মাতৃদুগ্ধ পানের সুযোগ পায় না। তবে দক্ষিণ ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ঠিক সময়ে স্তন্যপানের রীতি অধিক প্রচলিত।

সে দিক থেকে অনেক পিছিয়ে এশিয়ার দেশগুলো। মাত্র ৩২ শতাংশ (অর্থাৎ প্রতি তিনজনে দুইজন বঞ্চিত) শিশু জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মাতৃদুগ্ধ পানের সুযোগ পায়। যার জেরে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি, তৈরি হয় প্রাণ সংশয়ও।

স্তন্যপান নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই প্রতিবেদন যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শিশুর জন্মের পরের এক ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃদুগ্ধই হল প্রথম টিকা। সেটা দেরিতে পেলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর জন্মের সময় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা জরুরি। অথচ হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পরে মায়ের কী ধরনের যত্ন নিতে হবে, সে নিয়ে কোনো কর্মশালা হয় না। স্বাস্থ্যকর্মীরাও শিশুদের স্তন্যপানের দিকে অনেক সময়ে গুরুত্ব দেন না। সেই দিকগুলোতে নজরদারি প্রয়োজন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জন্মের পরপরই নবজাতককে দুধ পান করানো হলে নবজাতক ও মায়ের শরীরের মধ্যে ‘স্কিন টু স্কিন’ সংযোগ তৈরি হয়, যা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়ক। শালদুধ নবজাতকের জন্য প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে কাজ করে। কারণ, শালদুধে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিবডি ও তা পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।

‘সন্তান জন্মের প্রথম ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে বুকের দুধ পান করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সময়টায় সবকিছু। এ সময় নবজাতককে দুধ পান করানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব নবজাতকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অথচ প্রতিবছর লাখ লাখ শিশু এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ জানান জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী হেনরিয়েটা এইচ ফোয়ের।

তিনি বলেন, ‘মায়েরা সন্তান জন্মদানের পরপর এ বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা পান না। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীরাও সেভাবে সহযাগিতা করে না।’ তবে এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সবাই এগিয়ে আসলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে মনে করেন হেনরিয়েটা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সন্তান জন্মের পরবর্তী এক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর হার সবচেয়ে বেশি পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (৬৫ শতাংশ)। সবচেয়ে কম পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (৩২ শতাংশ)।

বুরুন্ডি, শ্রীলঙ্কা ও ভানুয়াতুতে সন্তান জন্মের প্রথম ঘণ্টায় প্রতি দশজনের নয়জন শিশু মাতৃদুগ্ধ পানের সুযোগ পায়। অপরদিকে, আজারবাইজান, চাঁদ ও মন্টেনিগ্রোতে প্রতি দশজনে মাত্র দুইজন শিশু এ সুযোগ পেয়ে থাকে। 

সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Comments

Popular posts from this blog

হিমোফিলিয়া।

ডাঃ  আশীষ কুমার ঘোষ শিশু রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক শিশু অনকোলজি  বিভাগ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল ঢাকা। ভূমিকাঃ হিমোফিলিয়া ( ইংরেজি: Haemophilia, অথবা hemophilia) হচ্ছে রক্তের একটি বংশানুক্রমিক জিনগত রোগ। রক্ত তঞ্চনে সমস্যা ঘটিত এই রোগে রক্তনালী কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধ হতে চায় না অথবা মৃদু আঘাত পেলে শরীরে রক্ত জমাট বেধেঁ  কালো হয়ে যায়।সাধারনত  রক্তে  ফ্যাক্টর - ৮ ও  ফ্যাক্টর -৯  নামক প্রটিনদ্বয়  এর অভাব থাকার জন্য রক্ত তঞ্চনের এই সমস্যা হয় এবং এই প্রোটিনদ্বয় যেহেতু মানব জিনের X ক্রোমোজমে থাকে তাই শুধু পুরুষগন এই রোগে আক্রান্ত হন এবং স্ত্রীগণ এই রোগের বাহক হয়ে থাকেন । হিমোফেলিয়া প্রধানত দুই প্রকার যথা -  ফ্যাক্টর VIII এর অভাবে হিমোফিলিয়া এ (A) এবং ফ্যাক্টর IX এর অভাবে হিমোফিলিয়া বি (B)। তবে ফ্যাক্টর ১১ এর অভাবে আরো একপ্রকার রক্তের জমাট বাধার সমস্যা জনিত রোগ আছে যার নাম  হিমোফেলিয়া - সি। পৃথিবীর অনেক বড় বড় বিখ্যাত ব্যাক্তির এই রোগ রহিয়াছে। বিখ্যাত বিলেতি অভিনেতা রিচার্ড বাটোন, রাশিয়ান রাজপুত্র নিকোলেভিচ,   রাজপুত্র লিওপোল্ড হিমোফেলিয়ার রোগী ছিলেন এবং 

বাচ্চা মোটেই খেতে চায় না।  কী করবেন ?

বাচ্চা মোটেই খেতে চায় না।  কী করবেন? ডাঃ অাশীষ কুমার ঘোষ শিশু ও শিশু রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ  সহকারী অধ্যাপক শিশু হেমাটলজি ও অনকোলজি বিভাগ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল সিনিয়র কনসালট্যান্ট (টেলি -মেডিসিন) Fan Jingle Medical Operation, Hong Kong. জন্মের শুরু থেকে ছ’মাস পর্যন্ত বাচ্চা কেবলমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদানও তাই। স্তন্যপানই শিশুর  পর্যন্ত। মায়ের দুধই যাবতীয় ভিটামিনস (কেবল ভিটামিন ডি আলাদা দিতে হবে), মিনারেলস ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে। মায়ের দুধের বিকল্প ছ’মাস বয়স পর্যন্ত, সারা পৃথিবীতেই আর কিছু নেই। কিন্তু ছ’মাসের পরে শুধু বুকের দুধে বাচ্চার সামগ্রিক পুষ্টি মোটেই সম্ভব নয়। ছয় মাসের পরে মায়ের বুকে দুধ যথেষ্ট নয়, কেন? উঃ কারণ, হু-র বিভিন্ন পরীক্ষা ও রাসায়নিক বিশ্লেষণে ৫৫০ মিলি বুকের দুধে ক্যালরি (ঘাটতি ৬০%), আয়রন (ঘাটতি ৯৫%), প্রোটিন (ঘাটতি ৪৫%), জিঙ্ক ও ভিটামিন এ-র (ঘাটতি ৯০%) লক্ষণীয় ঘাটতি প্রমাণিত। বিশেষ করে ছয় থেকে আট মাস বয়সে আয়রন আর জিঙ্কের ঘাটতিই সবচেয়ে প্রকট। এই বয়সের একটি শিশুর আয়রন প্রয়োজন একজন প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় নয় গুণ ব

Child Cancer Specialist of Dhaka.

  Dr. Ashis Kumar Ghosh Cancer/Oncology specialist Assistant Professor Department of Pediatric Hematology and Oncology National Institute of Cancer Research and Hospital Expertise:  Pediatric Hematology, Pediatric Oncology, Rare Childhood Cancer and Pediatric Medicine Tel- 01712685509   Video Consultation/Online Consultation by Whatsapp - 01712685509 (On prior appointment)     Chamber: 1         Health and Hope Hospital  (Sunday and Wednesday )                                      152/2/G Green Road. Pantho Path. Dhaka-1205                                 09611996699, 01611-216232 Chamber: 2         Padma Path  (Saturday and Tuesday)                                 7  Darusalam Road. Mirpur -1                                 Tel: 9020378, 01975664433 1 .  Medulloblastoma: A Common Pediatric Tumor: Experience of a Tertiary Care Cancer Center of Bangladesh . https://www.semanticscholar.org/paper/Medulloblastoma%3A-A-Common-Pediatric-Tumor%3A-of-a-of-Gh