Skip to main content

বাচ্চা মোটেই খেতে চায় না।  কী করবেন ?

বাচ্চা মোটেই খেতে চায় না।  কী করবেন?


ডাঃ অাশীষ কুমার ঘোষ
শিশু ও শিশু রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ 
সহকারী অধ্যাপক
শিশু হেমাটলজি ও অনকোলজি বিভাগ
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল

সিনিয়র কনসালট্যান্ট (টেলি -মেডিসিন)
Fan Jingle Medical Operation, Hong Kong.


জন্মের শুরু থেকে ছ’মাস পর্যন্ত বাচ্চা কেবলমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদানও তাই। স্তন্যপানই শিশুর  পর্যন্ত। মায়ের দুধই যাবতীয় ভিটামিনস (কেবল ভিটামিন ডি আলাদা দিতে হবে), মিনারেলস ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে। মায়ের দুধের বিকল্প ছ’মাস বয়স পর্যন্ত, সারা পৃথিবীতেই আর কিছু নেই। কিন্তু ছ’মাসের পরে শুধু বুকের দুধে বাচ্চার সামগ্রিক পুষ্টি মোটেই সম্ভব নয়।

ছয় মাসের পরে মায়ের বুকে দুধ যথেষ্ট নয়, কেন?

উঃ কারণ, হু-র বিভিন্ন পরীক্ষা ও রাসায়নিক বিশ্লেষণে ৫৫০ মিলি বুকের দুধে ক্যালরি (ঘাটতি ৬০%), আয়রন (ঘাটতি ৯৫%), প্রোটিন (ঘাটতি ৪৫%), জিঙ্ক ও ভিটামিন এ-র (ঘাটতি ৯০%) লক্ষণীয় ঘাটতি প্রমাণিত। বিশেষ করে ছয় থেকে আট মাস বয়সে আয়রন আর জিঙ্কের ঘাটতিই সবচেয়ে প্রকট। এই বয়সের একটি শিশুর আয়রন প্রয়োজন একজন প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় নয় গুণ বেশি আর জিঙ্ক চার গুণ বেশি। ২৭০০ ক্যালরির হিসাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রয়োজন ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন ও ০.২৬ মিলিগ্রাম জিঙ্ক। সেখানে নয় গুণ ও চার গুণ বেশি আয়রন ও জিঙ্কের সমাহাহরে খাবার তৈরি করে শিশুর প্রয়োজন মেটানো মুখের কথা নয়। বিভিন্ন গবেষণা জানাচ্ছে আয়রনের অভাবজনিত অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা শিশুদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের থেকেও অনেক বেশি ব্যাপক।

মায়ের দুধে ৬ মাস পরের আয়রন, জিঙ্ক, প্রোটিন ও ক্যালরির (মানে শক্তি বা এনার্জি) এই বিশাল ফারাক/ ঘাটতি ঘোচাতে তাহলে কী খাওয়ানো হবে?

ছয় মাস একদিন থেকেই মায়ের দুধের সঙ্গে কঠিন/স্বল্প কঠিন/নরম বা কমপ্লিমেন্টারি ফুড খাওয়ানো শুরু করতে হবে। যাতে নিক্তি মেপে নির্দিষ্ট পরিমাণে সরকারি নিদান অনুযায়ী আয়রন, জিঙ্ক, প্রোটিন ও ক্যালোরিও থাকবে। ফলে মায়ের দুধের বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের বিশাল ঘাটতি শিশুর বৃদ্ধিতে থাবা বসাতে পারবে না।

কমপ্লিমেন্টারি ফুড অপরিহার্য কেন?

কমপ্লিমেন্টারি ফুড অর্থাৎ মায়ের দুধ ব্যতিরেকে অন্যান্য কঠিন খাদ্য শিশুর সঠিক বৃদ্ধির দিশা দেখায়। মাইলস্টোন ডেভেলপমেন্ট ঠিক থাকলে শিশু স্বাভাবিকভাবেই কঠিন খাবার গ্রহণ করবে, যেমন কোনও কিছুর সাহায্যে অথবা একা একা শিশু বসতে পারবে, মাথা শক্ত ও সোজা রাখতে পারবে, খাবার মুখের কাছে আনলে মুখ হাঁ করবে, জিভটাকে নিচু ও অনুভূমিক রাখবে যাতে সহজে চামচ মুখে প্রবিষ্ট হয়, ঠোঁট দিয়ে চামচটাকে চেপে ধরবে, যাতে খুব সামান্য খাবারই মুখ থেকে গড়িয়ে পড়ে আর খাবারটাকে গিলবে, ঠেলে উগরে দেবে না যাতে চিবুক দিয়ে গড়িয়ে নামে। বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিক হলে তবেই তার পক্ষে কঠিন/ নরম খাবার গেলা সম্ভব। মাথা সোজা না থাকলে শিশুকে খাওয়ানো সম্ভব নয়, তেমনই খাবার দেখে শিশু যদি মুখ না খুলতে পারে, তাহলে তাকে জোর করে খাওয়ানো অসম্ভব। 

বাড়িতে তৈরি খাবারে জিঙ্ক, আয়রন বা অন্যান্য খাবারের সঠিক জোগান বজায় রাখা কি সম্ভব?

বাড়িতে তৈরি খাবারে শিশুর বয়স অনুযায়ী নিক্তি মেপে উপরিউক্ত হিসেব অনুযায়ী আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ভিটামিনস বা অন্যান্য মিনারেলস যুক্ত খাবার তৈরি একটু অসুবিধাজনক কিন্তু অসম্ভব নয়। দানাশস্য এবং ডালে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন, ফোলেট, ভিটামিন এ-সি-ই, ভিটামিন বি সিক্স, টুয়েলভ ও সেলেনিয়ামের ‘বায়ো অ্যাভেলেবিলিটি’ বা জৈব লভ্যতা থাকে যৎসামান্য, ফলে বাড়ির তৈরি খাবারে সর্বদাই পুষ্টির ঘাটতি থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। 

ঝামেলার সূত্রপাত কৃষি-বিপ্লবের হাত ধরে। প্রাক কৃষি যুগে আদিম মানুষ শিকার করে মাছ-মাংস ঝলসে খেতে অভ্যস্ত ছিল। মায়ের দুধের সঙ্গে প্রাণিজ প্রোটিন বা মেটে (লিভার) আয়রন ও জিঙ্কের অভাবকে পুষিয়ে দিত। বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর করা একটি সমীক্ষা দেখাচ্ছে, বাড়ি বা স্থানীয় খাবার পুষ্টির বিচারে তখনই স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে যখন সেই খাবারে জোড়া হচ্ছে (ফর্টিফায়েড) আয়রন সমৃদ্ধ প্রাণীর মেটে বা লিভার।

অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা কি কেবল আয়রনের অভাবজনিত কারণেই?

বাচ্চাদের মধ্যে গোলকৃমির প্রকোপও আয়রনের অভাবজনিত অ্যানিমিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বলছে, ৬-৫৯ মাস বয়সি ১০টি শিশুর মধ্যে সাতটি শিশুই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় আক্রান্ত। ৬-৫৯ মাস বয়সি শিশুর অর্ধেক কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় মাত্রায় (১৫ ppm) আয়োডিন পায় খাবার লবন থেকে। অর্থাৎ ৬-৫৯ মাস বয়সি শিশুর অর্ধেকের পাতে আয়োডিনযুক্ত লবনটুকুও জোটে না। ২৫ শতাংশ মাত্র ১২-৩৫ মাস বয়সি শিশু ভিটামিন-এ’র পরিপূরক কোনও খাবার খায় বা পায়। আমাদের  সরকারের নিদান, নয় মাস বয়স থেকে তিন বছর পর্যন্ত প্রতিটা শিশুকে ছয় মাস অন্তর নির্দিষ্ট মাত্রার ভিটামিন-এ খাওয়াতে হবে ভিটামিন-এ ডেফিসিয়েন্সিকে রুখতে।

শিশুর খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত আসল ব্যাধিটা তাহলে কোথায়?

আমাদের বর্তমান সময়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে প্রাণিজ প্রোটিন ৬-৮ মাসের বাচ্চার কাছে অচ্ছুৎ। আট মাসের একটি শিশুকে সঠিক পুষ্টিমূল্য বজায় রাখতে দিনে ছয় থেকে আটবার শক্ত/নরম ফর্টিফায়েড খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। একটি প্রামাণ্য গবেষণা জানাচ্ছে, ভারতে মাত্র ৪২% ভাগ্যবান শিশুকে দৈনিক ৬-৮ বার খাওয়ানো হয়। ২ বছর বয়স পর্যন্ত পুষ্টিপ্রাচুর্যে ভরপুর খাবার শিশুর একান্ত প্রয়োজন; শিশুর বৃদ্ধি বিকাশ যেমন এই সময়টাতে সর্বাধিক ত্বরান্বিত হয় তেমনি শিশুর ভবিষ্যত খাদ্যগ্রহণের সুচারু অভ্যেসটিও তৈরি হয় এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’বছর সময়কালে। শুধু পুষ্টি নয়, মায়ের দুধের বিকল্প হিসাবে ধীরে ধীরে শক্ত বা নরম কমপ্লিমেন্টারি ফিডিং শিশুকে খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধের ব্যাপারেও সচেতন করে তোলে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে যার ভূমিকা অপরিসীম।

কখন কীভাবে শিশু খাবারের স্বাদ/গন্ধ বুঝতে শেখে?

গর্ভাবস্থায় বা স্তন্যপানের সময় খাদ্যের গন্ধের সঙ্গে শিশুর সম্যক পরিচয় ঘটে। কমপ্লিমেন্টারি ফুডের সঙ্গে মা যদি শিশুকে পুষ্টিকর ফল ও সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন, পরবর্তীকালে দেখা গেছে সেই শিশু কোনও খাবার থেকেই মুখ সরিয়ে নিচ্ছে না। 

লুকনো খিদে বা ‘হিডেন হাঙ্গার’টা কী?

শিশু খাচ্ছে কিন্তু তার কানাকড়ি পুষ্টিও হচ্ছে না অর্থাৎ খিদেটা আক্ষরিক অর্থে লুকনোই থাকছে। পুষ্টি—খিদের সমার্থক ও সম্পূরক। বিজ্ঞানসম্মত পন্থায় খাবার না খাওয়াতে পারলে শিশুর লুকনো খিদেকে (Hidden Hunger) বাগ মানানো কখনওই সম্ভব নয়। ফলে শিশু অল্পেতেই হয়ে পড়বে ক্লান্ত; দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যাঘাত ঘটবে পড়াশোনায়, উৎপাদনশীলতায়। তার ফলে সামগ্রিক ক্ষতি দেশ ও দশের।

লুকনো খিদের ক্ষতির বহর কতটা?

এই লুকনো খিদে বা প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি ডেকে আনতে পারে মস্তিষ্কের অপরিমেয় ক্ষতি, অন্ধ্যত্ব। বহুগুণ বাড়াতে পারে শৈশবে ডায়েরিয়া, হাম ও ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা। একথা বলছে ছ’বছর আগেকার ইউনিসেফের প্রতিবেদন (The Micronutrient Initiative and UNICEF. Vitamin & Mineral Deficiency a Global Progress Report, 2010)। বয়সভিত্তিক উচ্চতা ও ওজনের স্কোর পরিষ্কার দেখিয়ে দেয়, দু’বছর পর্যন্ত পুষ্টির ঘাটতিকে, প্রকারান্তরে লুকনো খিদের স্বরূপকে।

শিশুর খাবার কত ধরনের হওয়া উচিত?

খাবারে বৈচিত্র্য আনতে সাতটি আলাদা আলাদা শ্রেণির খাবারের সুপারিশ করা হয়েছে। সাতটি দূর অস্ত, ৬-২৩ মাস বয়সি শিশুর মাত্র নয় শতাংশ চার ধরনের আলাদা আলাদা খাবার খেতে পায়। ফলে ২০ শতাংশ পাঁচ বছরের নিচের বাচ্চার সুষম বৃদ্ধিই হচ্ছে না। আর ৪৮% বাচ্চা হয়ে পড়ছে খর্বকায় (Stunted)।

মায়ের দুধের পরিবর্তে ধীরে ধীরে শিশুকে শক্ত, আধাশক্ত বা নরম খাবারে অভ্যস্ত করা আবশ্যিক, আপনার কথায় তা পরিষ্কার। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞরা অনেকেই এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টাতে ধ্যান দেন না, কী কারণে?

বিদেশী একটা সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে অনুন্নত বিশ্বে সাধারণ অসুস্থতা আর টিকাকরণ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অধিকাংশ শিশু বিশেষজ্ঞ। তাঁরা মোটেই উৎসাহী নন শিশুদের খাবার সম্পর্কে। ফলত অদ্ভুত আঁধার এক  এসেছে আজ।

আর কী করণীয়?

১. খাবারকে সুস্বাদু করতে হবে, আমাদের মা-দাদিরা জানেন বাচ্চার খাবারকে কীভাবে স্বাদু করতে হয়। খাবারকে যতটা সম্ভব থকথকে করতে হবে, যাতে কম গড়ায় বা চিবুক বেয়ে নামে। সর্বোত্তম পরিচ্ছন্নতা সবসময় বজায় রাখতে হবে। একবার দু’বার শিশু খাবার না খেলেই তা বাতিল করা যাবে না। পরপর আটবার যদি শিশু একই খাবার না খায়, তবেই বাতিল করবেন। শিশুকে খাইয়ে বমি করানো অত্যন্ত বদভ্যাস। যে কথাগুলো বলা হল তার সবই গত এক যুগের হু, ইউনিসেফ ও আইএপি’র বহু প্রামাণ্য গবেষণার সারাংশ।
২. সব খাবারই ভালো আবার সব খাবারই মাত্রাতিরিক্ত বা অতিরিক্ত মশলাদার হলে খারাপ। তাই সব রকম খাবারই মিলিয়ে মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে হবে, সেটাই হবে শিশুর সুষম খাদ্য। যা সহায়ক হবে শিশুর সর্বোত্তম বৃদ্ধি বিকাশে।

                                            -------------


Comments

Popular posts from this blog

সিজারিয়ান সেকশন

বন্দ হোক অপ্র‌য়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশনের । সন্তান জন্মদান একটি প্রকৃতি নির্ধারিত স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। মেয়েরা কম বেশী ২৭০ দিন গর্ভধারণের পর যোনীপথে সন্তান প্রসব করেন - এটাই প্রকৃতির নিয়ম। তাই যোনীপথে সন্তান বেরিয়ে আসাকে নরমাল বা স্বাভাবিক ডেলিভারী বলা হয়। বিজ্ঞান বলছে শুধুমাত্র ১০-১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ডেলিভারী যোনীপথে হবে না, সেক্ষেত্রে তলপেট দিয়ে জরায়ু কেটে নবজাতককে বের করতে হবে। এই অপারেশনটির নামই হচ্ছে সিজারিয়ান সেকশন বা সি-সেকশন। এখানে কোন দ্বিমত নেই যে, সিজারিয়ান সেকশন একটি জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি কোথায়-কখন প্রয়োগ করতে হবে অথবা হবে না, চিকিৎসা বিজ্ঞানে তা পরিষ্কারভাবে বলা আছে । যেখানে প্রয়োজন সেখানে সময়মতো সিজারিয়ান করতেই হবে, নইলে মা-নবজাতকের একজন বা উভয়ের মৃত্যু হতে পারে, অথবা মারাত্মক শারীরীক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সাধারণভাবে একটি দেশের সিজারিয়ানের হার নির্দেশ করে, সে দেশের প্রসূতিদের জন্য জীবনরক্ষাকারী ‘জরুরী প্রসূতি সেবা’ কতখানি সহজলভ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, একটি দেশের সি-সেকশনের হার ১০-১৫ শতাংশের আশেপাশে থাকা উচিৎ। এই আলোচনার সূত্রপাত হচ্ছে এক...

Best Child Hematology Specialist of Dhaka. Bangladesh

Dr.Ashis Kumar Ghosh                          MBBS, DCH.MD Assistant Professor Paediatric Hematology and Oncology National Institute of Cancer Research and Hospital Mohakali, Dhaka, Bangladesh Email: ashiskumarghosh@Gmail.com Telephone number : 8801712685509 Health and Hope Hospital   152/2/G, Green Road,Panthapath, Dhaka-1205, Bangladesh  For Appointment: 01611131253, 01678131252 Sunday and Wednesday 2-5 pm. (Room no-311) Web. https://child-cancer-care-bangladesh5.cms.webnode.com পদ্মা প্যাথ ল্যাব ৬ দারুসসালাম সড়ক মিরপুর -১

Who Should Get The COVID-19 Vaccination in Bangladesh ?

  Who Should Get The COVID-19 Vaccination in Bangladesh ? Dr. Ashis Kumar Ghosh Pediatric Oncologist National Institute of Cancer Research and Hospital. It is important that every individual talk to their health care provider about their concerns regarding the vaccine. This can’t be emphasized enough. Individual risk varies from person to person. Who Should Get The COVID-19 Vaccination? It is important that every individual talk to their health care provider about their concerns regarding the vaccine. This can’t be emphasized enough. Individual risk varies from person to person. Who should be vaccinated first? While vaccine supplies are limited, it is recommended that priority be given to health workers at high risk of exposure and older people, including those aged 65 or older. Countries can refer to the  WHO Prioritization Roadmap  and the  WHO Values Framework  as guidance for their prioritization of target groups Who else can take the vaccine? Vaccination is...